যে সাত উপায়ে – স্ট্রোক প্রাণঘাতী না হলেও অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হলে মস্তিষ্কের কোষগুলির মৃত হতে শুরু করে যা অনেক সময় প্রাণঘাতীও হয়ে থাকে। স্ট্রোকের কিছু ঝুঁকি আছে যা কমানো সম্ভব। আপনার যদি স্ট্রোকের কারণগুলো জানা থাকে এবং এটি প্রতিরোধে জন্য যা করণীয় তা মেনে চললে আপনার স্টোকের ঝুঁকি অনেকখানি হ্রাস করতে পারবেন। কিছু উপায়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম এমন কিছু উপায়।
বাইসাইকেল চালানো: প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট বাইসাইকেল চালান। হার্টের রোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম হলো সাইকেল চালানো।
ডার্ক চকোলেট: প্রতি সপ্তাহে অন্তত কয়েকবার পরিমিত পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খান। ডার্ক চকোলেটে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হৃদপিণ্ডে ও মস্তিষ্কে রক্ত জমাটবদ্ধ হতে দেয় না।
বিয়ার: এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন এক গ্লাস বিয়ার খেলে দেহে কোলোস্টেরলের মাত্রা কমে আসে।
ভিটামিন বি সাপ্লিমেন্ট: ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রতিদিন ভিটামিন বি সম্পূরক গ্রহণ করুন। এই ভিটামিনও রক্তের জমাটবদ্ধতা প্রতিরোধ করে। ফলে হার্টের রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
মাছ: সপ্তাহে অন্তত একবার মাছ খেলে রক্তের শিরা-উপশিরাগুলো বিস্তৃত হয়। কারণ মাছে রয়েছে ভিটামিন ই। যা রক্তের জমাটবদ্ধ হওয়া এবং উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে।
উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার: সকালের নাস্তায় উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার খেলে রক্তে কোলোস্টেরলের মাত্রা কমে আসে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
শ্বেতবীজ: আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শ্বেতবীজ এবং শ্বেতবীজের তেল যুক্ত করুন। শ্বেতবীজে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।